এবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেসেখেলে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার (২৫ মে) স্বাগতিকদের দেয়া ১০৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫০ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটিই বাংলাদেশের প্রথম ১০ উইকেটের জয়। টাইগাররা এই ম্যাচ জিতলেও যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।
এদিন লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ ও সৌম্য। অবিচ্ছিন্ন ১০৮ রানের জুটি গড়েই মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটার। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ হার না মানা ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ। ৪২ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সৌম্য।
এর আগে, পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রান করে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রানে ৬ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। ৯৬ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই সেরা বোলিং ফিগার ফিজের। টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন তিনি। হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৪.৫ ওভারে ৪৬ রান তুলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীর ও অ্যান্ড্রিস গাউস। সাকিবের ব্রেক-থ্রুর পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটারদের চেপে ধরে বাংলাদেশের অন্য বোলাররা। ১৪ রানের ব্যবধানে পরের ৪ উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ, রিশাদ ও তানজিম। ৪৬ রানের সূচনার পর ৬০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
১৮তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াকু সংগ্রহের সম্ভাবনা শেষ করে দেন মুস্তাফিজ। শ্যাডলিকে ১২ রানে এবং অ্যান্ডারসনকে ১৮ রানে বোল্ড করেন ফিজ। ইনিংসের শেষ ওভারে তিনি আরও ২ উইকেট শিকার করলে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রানে যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস।